টোয়েন্টি নাইম খেলা শিখার পর মুনে হইল
পিথিমীতে ইয়ার চাইয়া বড় আর ভালো কুনো খেলা নাই
অথচ যেদিন তিন তাস শিকলাম
মাগীর জুড়া দিয়া মরাদোনার জুড়া মাইরা
তিনশ' ট্যাকা পকটে তুললাম
তারপর নবীনগর, তিন পেলেট ভুনাখিচুরির পর একটা বুইড়া কোকের বোতল
বিশ্বজিৎরে নিয়া শ্যাষ করার পর মুনে হইল
টুয়েন্টি নাইম কুনো খেলাই না। একটা নিস্তরঙ্গ আইড়াকাইড়া মাত্র- যা পিথিমীতে না থাকলেউ চলতো।
ইয়ার পর শিকলাম প্রেম খেলা। খেলিবার পর মুনে হইল আহা যেন মধুরসা! সর্বনাশা মধুরসা খেয়ে দাঁত লাল হলে প্রেমিকা চলিয়া যাইবার উপক্রম করে।
বলিলাম, কী ব্যাপার! কেন চলিয়া যাইবে...আমাকে ফেলে?
প্রেমিকা কিছু বলে না, শুধুই চলিয়া যাইতে থাকে
আমি পিছু ডাকি, শোনো কঙ্কা, হে কঙ্কাবতী প্রিয় প্রেমিকা আমার। কথা শোনো... মতিচ্ছন্ন হইয়ো না আর
তথাপি সে কথা শুনে না, জোরে চলিয়া যায়।
এ পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক। কিন্তু দিনকয়েক পরে
প্রেমিকারে দেখিলাম পরাণের দুস্তর লগে
বুঝিলাম, উহারা পচুর প্রেম খাচ্ছে।
খাচ্চে তো খাক, আমার অসুবিদা কুথায়?
অসুবিধা নাই জানিয়াও দেখিলাম বুকে পচুর অসুবিধা হচ্চে
অসুবিধাকে সুবিধা করিতে বুক চাপিয়া ধরিয়া
মটকা মারিয়া পড়িয়া রহিলাম যতক্ষণ না ব্যথা সারে
কিন্তু পিথিমীর কুনো একদিন পরাণের বন্ধু পাগল হইয়া কাছে আসিল। ধুনফুন নানা আলোচনা শ্যাষে কহিল, বন্ধুবর মাফ করিয়া দাও। কহিলাম, তুমি তো কুনো পাপ করো নাই? তবে মাফ মাঙ্বার কি হেতু? বলিয়া তাহাকে কুনোক্রমে খেদাইলাম।
দিনকয়েক পর দেকিলাম, পরাণের দুস্ত সত্যি সত্যি পাগল হইয়া বাটি ফিরিয়া গেল। প্রেমিকারে এবার অন্য লুকের সনে দেহা যায়।
সবকিছু বিবেচনা করিয়া আমি আমার বুক হইতে হাত হরাইয়া পকটে ঢুকাইলাম এবং তিন তাস খেলিতে বসিলাম।
হাঁসের বাচ্চার জুড়া লইয়া ব্লাইন্ডে বাইড়াবাইড়ি কইরা টেক্কা টপ কালারের নগে বাড়ি খাইয়া
এহাবারে ফকুর হইয়া গেলাম শেষরাইতে।
সকালে বিশ্বজিৎ মণিরে লইয়া নবীগর গেল খিচুরি মারতে। আমি ভুদাই হইয়া ঘরে ঢুকিতে যাইয়া চৌকাটের নগে বাড়ি খাইয়া পড়িয়া গেলাম ভাতরুমে। আর তখনই বুঝলাম, দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম এবং পতও পচুর আইড়াকাইড়া।
বুধবার, ৩০ জুন, ২০১০
অপৃথিবী
তবু এই নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভালো লাগে
ভালো লাগে পৃথিবীর প্রেম ও অনিশ্চয়তার ডিম ভেঙে কুসুম খাউয়া
ভালো লাগে রতিহীন গতিহীন স্মৃতিবিহীন সন্ধ্যাবেলা
গাংচিল ও সমুদ্রের সম্পর্ক মেপে সামদ্রিক হাওয়া খাউয়া
ভালো লাগে তুমাকে আমাকে এবং পরিচারকের ভালা ব্যবহারে
রাতের আহার বিহার ও কানামাছি ভো ভো খেলা
অথচ ম্যালাদিন বাদে গতরাতে
ঘুমঘোরে স্বপ্ন এসে নিয়ে গিয়েছিল
অপৃথিবীর কোনো এক অদ্ভুত গ্রামে
সেখানে লোকেরা ভাত দিয়ে দুধভাত খায়
নদী থেকে তুলে আনে মদের পাহাড়
গাংচিল গড়াতে গড়াতে বানর সাজে
লোকেরা নিঃশব্দেও হাসে না
বাসে না ভালো তুমাকে আমাকে কিংবা কাউকেও।
অসমাপ্ত
ভালো লাগে পৃথিবীর প্রেম ও অনিশ্চয়তার ডিম ভেঙে কুসুম খাউয়া
ভালো লাগে রতিহীন গতিহীন স্মৃতিবিহীন সন্ধ্যাবেলা
গাংচিল ও সমুদ্রের সম্পর্ক মেপে সামদ্রিক হাওয়া খাউয়া
ভালো লাগে তুমাকে আমাকে এবং পরিচারকের ভালা ব্যবহারে
রাতের আহার বিহার ও কানামাছি ভো ভো খেলা
অথচ ম্যালাদিন বাদে গতরাতে
ঘুমঘোরে স্বপ্ন এসে নিয়ে গিয়েছিল
অপৃথিবীর কোনো এক অদ্ভুত গ্রামে
সেখানে লোকেরা ভাত দিয়ে দুধভাত খায়
নদী থেকে তুলে আনে মদের পাহাড়
গাংচিল গড়াতে গড়াতে বানর সাজে
লোকেরা নিঃশব্দেও হাসে না
বাসে না ভালো তুমাকে আমাকে কিংবা কাউকেও।
অসমাপ্ত
রবিবার, ৬ জুন, ২০১০
পিথিবি বনাম
সিচুয়ান নদীর ধারে
থাই দুকানীদের ভিড়ে
হাঁটছিলাম একা একা
কী এক গভীর অমনোযোগে
ভবছিলাম, হায় পিথিবির কী হবে? পিথিবির কী হবে?
এমুন সুমায় তালবাল ছাড়া এক পাগলা ঘুড়া
ফালাইয়া দিল মোরে এক চৌকস ন্যাজের বাড়িতে
উববুত হইয়া ঝরিয়া পড়িলাম পিথিবির পৈথানে
আপন দাঁত কাটিয়া লইল আপনার জিবল্যাটিকে
কাঁদিয়া উঠিল প্রাণ কী এক গভীর রোদনে,
হায় এখন আমার কী হইবে? এখন আমার কী হইবে?
থাই দুকানিরা সকলই দেখিল, শুনিল কিন্তু কান্নার ভাষা বুঝিতে নারিয়া খকখক হাসিতে লাগিল।
থাই দুকানীদের ভিড়ে
হাঁটছিলাম একা একা
কী এক গভীর অমনোযোগে
ভবছিলাম, হায় পিথিবির কী হবে? পিথিবির কী হবে?
এমুন সুমায় তালবাল ছাড়া এক পাগলা ঘুড়া
ফালাইয়া দিল মোরে এক চৌকস ন্যাজের বাড়িতে
উববুত হইয়া ঝরিয়া পড়িলাম পিথিবির পৈথানে
আপন দাঁত কাটিয়া লইল আপনার জিবল্যাটিকে
কাঁদিয়া উঠিল প্রাণ কী এক গভীর রোদনে,
হায় এখন আমার কী হইবে? এখন আমার কী হইবে?
থাই দুকানিরা সকলই দেখিল, শুনিল কিন্তু কান্নার ভাষা বুঝিতে নারিয়া খকখক হাসিতে লাগিল।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)