কুনো এক শনিবার দুফুর বেলা
একটা উঁচা পাহাড় আর একটা নিহত ঘুড়া
বইসা বইসা গান গাইতে ছিল
আমি গান থামিয়া কইলাম,
পিলিজ আমারে এট্টু দীক্ষা দেন। খুব হেসেখেলেবেঁচেবর্তেখাই।
উহারা কইল, হাহাহাহ হাহাহাহাহ। ইহা তো খুবোই আমোদের কতা..কিন্তু আমরা যে নিতান্তই বুকাচুদা। দীক্ষা দিবার শিক্ষাই যে আমাগের নাই!
কহিলাম, তা হবে হয়তো। কিন্তু এখন আমি দীক্ষা লইতে কোথায়ই বা যাই?
উহারা ক্ষণকাল চিন্তা করিয়া কহিল, তুমি উত্তরে যাউ। উখানে এক প্রগলভা নারীর বাস। উহার কাছথন দীক্ষা লইয়া লও।
চলিলাম উত্তরের পথে। হাঁটিতে হাঁটিতে কিলান্তপ্রায়
পথিমদ্যে হঠাৎ দেখা এক বিটল বানরের
কহিলাম, হে পরম ভ্রাতামার, তুমি কি কহিতে পারো অত্রাঞ্চলে বসবাসরত কুনো প্রগলভা নারীর কথা?
কুথায় তাহার সাং কুথায়ইবা সাকিন?
বিটল বানর হাতের কদলী ফুটাইতে ফুটাইতে কহিল,
খুব পারি।
অবাক মানিয়া কহিলাম, খুব পারো?!
তবে হামাক ওইস্থানে লইয়া যাও।
বিটল বানর কহিল, তাহার আগে একটা কদলী খাইয়া লও।
কহিলাম, ক্যানে ক্যানে? আমি পরিছ্রান্ত বটে, ক্ষুদার্ধ তো নই..
বিটল বানর কহিল, তাহা জানি বৈকি? কিন্তু ব্রাদার হোচিমিন,
প্রগলভা নারীর কাছে যাইবার ইহাই যে উপায়।
কহিলাম, যেমন যেমন?
বিটল বানর কৎকৎ করিয়া কদলী ভক্ষণরত অবস্থাতেই কহিল,
এট্টু পরে তুমিউ যে আমার নগাল হইয়া যাইবাগা!
তৎক্ষণাৎ বুঝিলাম, প্রগলভারা কেবলই বানর বানায়।
একটা নাল পাহাড় বনাম...
ফ্যাকাইশা নীলরঙ্গা একটা আকাশ আছিল আকাশে
আমরা আঁটপার নু্ইছিলাম হয়তোমা আনমুনেই
নদী চর খাল বিল গজারির বন পার হইয়া
সামনে একটা লাল পাহাড়
কইল, ক্যা আইছত এইহানে?
কইলাম, জাইন্ন্যা।
কয়, জাইন্যা আহই।
কইলাম, পারুম না।
কয়, ক্যা পারবি না। পক্কুতে ফুট অইছে?
কইলাম, না। পক্কুতে ফুট অয় নাই।
কয়, তাইলে পারবি ন্যা ক্যা?
কই, ট্যাকা নাইঙ্কা।
কয়, ক্যা ট্যাকা নাইঙ্কা?
কই, পিথিবী একটা অজন্তা ইলোরার দ্যাশ, এনে ভালো মাইনষ্যের পকটে ট্যাকা থাকে না।
কয়, তুই কি ভালো মানু?
কইলাম, হ।
কয়, ক্যামনে তুই ভালো মানু?
কইলাম, কারণ আমি বহুদ্দিন খেলাই না।
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০১০
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
1 মতামত(সমূহ):
মামা, তুমি এইখানে আগুন ধরায়া ফালাইছো, আমি জানতাম ফারি নাই, দুঃকুর ঠেলায় মন প্রাণ চউখ জ্বইলা যায়
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন