মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০১০

সুভদ্র বাঘ এবং বেলেহাজ বিড়াল

একটা সুভদ্র বাঘ বাটিতে বসিয়া বাল কাটিবার নুইছিল। চানের আগে সাফ সুতরো হওয়ার লক্ষ্যে। কিন্তু একটা বেলেহাজ বিড়াল কতা নাই বার্তা নাই হঠাশ বাটিতে ঢুকিয়া বাল কাটিবার পাটিতে বসিয়া গেল।
সুভদ্র বাঘ প্রথমে ভুদাই হইলেও পর মুহূর্তেই থাপথুপ দিয়া কর্তিত বাল সামলাইয়া ফেলিল গামছায়। এবং লুঙ্গিতে লিঙ্গ ঢুকাইয়া কোনওক্রমে উঠিয়া দাঁড়াইয়া বলিল, হাহা হাহা হাহা কখন এলে বিড়াল ভায়া?
বেলেহাজ বিড়াল অতশত বুঝে না। তাই ঠাশ করিয়া বলিয়া ফেলিল, স্যার আফনে যহন বাল কাটপার নুইছিলেন তহন আইছি।
কছ কি খানকির পুলা...জাতীয় ডাইলক বাঘের গলা দিয়া প্রায় বাইরিয়াই গেছিল। কিন্তুক শেষমুহূর্তের চেস্টায় বাঘের আলা জিবল্যা তারে তা বলা থিক্যা ঠেকিয়া দিল। ফলে বাঘ গরগর করিল কতক্ষণ। তারপর বলিল, ইহা তুমি কী ধরনের কথা বলিলা?
বিড়াল কহিল, ক্যা স্যার? সত্য কথা বলিলাম।
বাঘ বলিল, সব সময় কি সত্য বলা ঠিক?
বিড়াল কহিল, কন কি স্যার! আপনেই তো কইছেন সব সময় সত্য কতা চুদবা। কখনো মিথ্যার পুটকিও মারবা না।
বাঘ বলিল, কেন আমি ইহা বলি নাই যে অবশ্যই তা ভদ্রতা সহযোগে?
এইরম কতা কইছিলেন নিহি, বলিয়া সন্দিগ্ধ হয় বিড়াল।
বাঘ বলে, বলেছিলাম তো বটেই। শুধু কি তাই? এও বলেছিলাম যে কখনো অপ্রিয় সত্যও বলবে না। এই যেমন ধরো কানাকে কানা বলিবে না, খোঁড়াকে খোঁড়া...
বিড়াল বলিল, হ বুজজি স্যার। আফনে যহন বাল কাটপার নুইছিলেন...তহন যুদি আফনে আমারে জিগাশ করেন কহন আইলা? তহন আমি কমু, স্যার আফনে যহন মধুরশা খাইবার নুইছিলেন তহন আইসি। তাইতো?
না। তা নয়। বাঘ বলিল।
বিড়াল বলিল, তাইলে কী কমু স্যার।
কিছুই কহিবে না। বাঘ বলিল। তিনি আরো বলিল, তবে তুমি যুদি কোনো ভর্দলুকের গৃহে প্রবেশ করিতে চাও, তবে অতি অবশ্যই উত্তমরূপে কড়া নাড়িয়া আর যুদি কড়া না থাকে তবে অধমরূপে গলা খাকারি দিয়া গৃহে প্রবেশ করিবে। নচেৎ তুমাকে হয়তো নানারূপ অস্বস্তির শিকার হইতে হইতে পারে।
বিড়াল কহিল, মানে?
বাঘ কহিল, এই যেমন ধরো তুমি এরূপ বিনা কোনো বাটিতে ঢুকিলে আর দেখিলে কোনো নারী তার দুগ্ধপোষ্য শিশুটাকে দিয়া বুনি টানাইতেছেন। কিম্বা ধরো গরমের গুমোট দশা হইতে পরিত্রাণ আশায় একদল নারী উদোম গতরে তাদের বুনিগুনিকে বাতাস খিলাইতাছে। ব্যাপারটি তুমার জন্য অস্বস্তির নয় কি?
কী যে কন স্যার। আমার তো ওই ধিরিশ্য দেইকা খুবোই আমোদ লাগিব।
মনে মনে কছ কি খানকির পুলা বলিতে বাঘ এবার ছাড়িল না। কিন্তু মুখে বলিল, তুমার হয়তো তাহা দেখিয়া আমোদ লাগিবে..কিন্তু ওইসব নারীদের তাহা নাও লাগিতে পারে। বলিয়াই বাঘ আবার নিজেকে শুদ্ধ করে নিল, নাও লাগিতে পারে কি, অবশ্যই লাগবে না।
বিড়াল এইবার বুজল, হু বুজজি স্যার। থাইক ইয়ার পর থিকা আমনের বাড়িতে গলা খাকাড়ি দিয়াই ঢুকুমনি। তবে স্যার আমি সত্যি সত্যিই আফনেরে ছাড়া আফনের বাড়ির আর কিচ্চু দেহি নাই কুনোদিন।
বাঘ রাগে রাঙা হইল আবার। কিন্তু তাহা দেখিবার মতো চোখ ছিল না বিড়ালের। তাই বিড়াল আরো কহিল, গুস্বা করিবেন না স্যার। এট্টা কতা কইতাম। জরুলি।
বাঘ বলিল, বলো।
স্যার আমনের কি বাল কাটা শ্যাষ হইছিল? না হৈলে স্যার আমি দশ মিনিটের নিগ্যা বারিন্দায় গিয়া বহি। আমনে বাল কাটিয়া লন? পরে নীতিজ্ঞান বিষয়ে আমনের কাছথন পাঠ লইবনি ক্ষণ।
এইরূপ অধম ছাত্রের কাছে বাঘের সকল ভাঙ্গিয়া যাওয়ায় বাঘ খোলসমুক্ত কিছুটা। তাই এইবার সেও বলিয়া উঠিল, বাল কাটিবার পর আমি চানেও ঢুকব। অতএব তুমি দশ মিনিট নয়, অর্ধঘণ্টা অপেক্ষা করো। এই বলিয়া বাঘ যে গামছায় বাল সামলিয়ে ছিল, তাহা সপাটে ঝাড়া দিয়া কাঁধে লইয়া নিল। ফলে মুক্ত পাখির ন্যায় বাল গুলি উড়িয়া গিয়া ছড়াইয়া পড়িল ঘরময়। তার খানকতক আশ্রয় নিল বেলেহাজ বিড়ালের চোখেমুখেও। তা থেকে বাঁচার লক্ষ্যেই কি-না বিড়াল হাড়াহাড়ি করেই বারিন্দাভিমুখী হইতে ছিল। কিন্তু বাঘ ডাকিয়া উঠিল, খবর্দার বিড়াল। আমি কিন্তুক বিলাত হইতে কতিপয় বিলাতি ইঁন্দুর ক্রয় করিয়া লইয়া আসিয়াছি। অতএব তুমি যেন উহাদের কোনোরূপ বিঘ্নের কারণ না হও। বিড়াল বলিল, জ্বি আচ্ছা স্যার।
চলবো?

0 মতামত(সমূহ):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন