খউপ সুন্দরমতোন একটা ম্যায়া তার প্রেমিকের বাড়ি যাইবার নুইছিল। কিন্তু ম্যায়াডা তার ক্যাত্তলার বাল কাটছিল কি-না আমরা তা জানি না। আর জানলেই কি? হ্যার প্রেমিক হয়তো ঝুপড়া বনই পছন্দ করে। ঝুপড়া বনে বাঘ ছাইড়া দিয়া হরিং শিকারে নামতে ভালো পায়। তাতে আমাগো অসুবিধা কনে?
অসুবিধা নাই বইলাই ম্যায়াডা তার প্রেমিকের বাড়ি যাইবার নুইছিল, হয়তো একটা ঝুপড়া বন নিয়া। যেখানে তার প্রেমিক অত্যন্ত আমোদে বাঘ ছাইড়া দিয়া হরিং শিকারে নামব। কানে তেল দিয়া, খালি ডুবিয়া ডুবিয়া মাছ ধরব। কিন্তু রাস্তায় আছিল চরম জাম। চুদানির পুলা রিকশালা, ভ্যানালা, সিএনজিলা, পাইভেট কারালারা ছুট্ট ওই রাস্তার মদ্যেই তিনড্যা লাইন চুদাইছিল। ফলে দুই মুর থিক্যাই কেউ যাইবারও পারতাছিল না আইবারও পারতাছিল না। এই নিয়া হিউজ গিয়াঞ্জাম। ব্যাপক চিল্লাচিল্লি আর গালিগালান্তিস থুতনা ভাঙ্গাভাঙ্গি পর্যন্ত পৌঁনছিয়া গেছিলগা পরাই। সেই সুমায় কে যে কার মাকে চুদল, মুখ দিয়া, বলা মুশকিল।
এই যহন অবস্তা, তহন ম্যায়াডা ঘ্যাচ কইরা রিকশা থিক্যা নাইমা পড়ল। ভাড়া মিটিয়া দিয়্যা। তিন গলি আগে। কিন্তু রাস্তায় নাইমাই ম্যায়াডা টের পাইল কামডা ভালো হয় নাই। কারণ রাস্তার এক খানকির পুলা টাইপ পথচারী তার লবস্টার পাছা দেইকা লুভ সামলাইতে পারল না। দিয়া দিল একটা রাবণ খামচি। উহঃ কইরা ব্যথা সামলাইতে পারলেও রাগ আর ঘিরিনা সামলাইতে পারল না ম্যায়াডা। রাগে তার শরীল রিরি আর ঘিরিনায় তার শরীল গিরগির করবার নুইছিল। ঘুইরা খাঁড়িয়া একটা চড় কষাইবার প্রগাঢ় ইচ্ছা গলা টিফি দিয়া মাইরা হালাইল ম্যায়াডা, দাঁত খামটি দিয়া। এবং বুদ্ধি খাটিয়া দ্রুত কাইটা পড়ল ভীড় থিক্যা। তারপর রাস্তা পার হওনের জন্যে তক্কে তক্কে রইল জামের ভিতর সুবিধামতো চিপাচুপার খোঁজে।
কিন্তু জিঞ্জের প্যান পরা ম্যায়াডার ওই আকর্ষণীয় ভঙ্গিমাডা রাস্তার ম্যাড়া পুরুষরা হাতছাড়া করল না এহাবারেই। দুইচোখ ভইরা গিল্যা খাইল ম্যায়াডার উগ্র যৌনগন্ধীময় ওই খাঁড়াইবার ভঙ্গিমাডা। অবশ্য তাগোরেও দুষ দিয়া লাভ নাই। কারণ ইহ জনমে এত ভালো শরীল খাইবার দাঁত তাগো আর জ্বালাইব না, এইডা তারা ভালো কইরাই জানে। তাই রাস্তা ঘাটে পথে প্রান্তরে ভালো কোনও শরীল দেকলেই তারা খাঁড়িয়া পড়ে হারামজাদার নগাল। আর সেইসব শরীলের রঙ্গিল স্মৃতি নিয়া আস্তানায় ফিরে। আর রাইতে রাইতে হাত মারে, সেইসঙ্গে মারে জীবন।
তো, সে যাই হোক না ক্যা, আমাগো গল্ফ হেইহানে না। আমাগো গল্ফ খউপ সুন্দর ম্যায়াডার পিছে পিছে। যে তার প্রেমিকের বাড়ির চৌকাঠে, ইতোমধ্যেই পৌঁনছিয়া গেছে। ম্যায়াডা বেল টিফে আর ওমনেই একটা টিয়া জাতীয় পাকি গলাখাকারি দিয়া উঠে। দরোজা খুইলা খাঁড়ায় প্রেমিকের মা। চিকন চোখে পর্যবেক্ষণ নেয়, তার ছেলেডার সাথে ম্যায়াডার খেলাধুলা স্টার্ট হইয়া গেছে কি-না? বলা যায় তো না, আইজ কাইলকার ছেলেমেয়েরা, প্রেমের আগেই বোডি ছাইন্যা নেয়, তে আর বিয়া? কিন্তু প্রেমিকের মারে এতদূর ভাবতে দেয় না সুন্দর মতো চালাক ম্যায়াডা, কয়, আন্টি হঠাৎ এত সাজুগুজু, বান্টিদের বাসায় যাবেন বুঝি?
কী যে কও না। তুমার আঙ্কেল মরছে আইজ পুনরো বছর, তারপরে তো আর সাজি না। নিউমার্কেটে যামু তাই এট্টু শাড়িড্যা বদলাইছি খালি। বলে সরু চোখের ভুরু জমিয়ে হাসেন আন্টি। আর ম্যায়াডাও বোঝে ওষুধে কাজ হচ্ছে না, তাই আরেক ডোজ মারে। তারপরও আপনাকে দারুণ লাগছে, আন্টি। অবশ্যি আপনি এমনিতেই সুন্দর।
এবার হয়তো আন্টি ধরাশায়ী কিংবা তারও তাড়া আছে বলে বাতচিৎ খাটো কইরা আনে, হেইৎ! আলাই বালাই। এইসব কওন লাগে না। তা তুমি এহন আইলা, রুকনে তো ঘুমায়?
ম্যায়াডা এইবার আকাশ থিক্যা পানিতে পড়ার অভিনয় কইরা বসে, হায় আল্লা ওর কালকে টিউটোরিয়াল... এখনও ঘুমাচ্ছে? আমি কত কষ্ট করে নোট যোগাড় করে আনলাম আর ও ঘুমাচ্ছে! রুকনের মা খউপ সুন্দর মতো ম্যায়াডার অভিনয় দেইকা হয়তো মনে মনে বলে, এই সুমস্ত পার কইরা আইসিরে মাগী! কিন্তু পুলার ডরে মুখে কয়, তাইনি? তা রুকনে তো আমারে কিছু কইল না। যাইগগা তুমি ভিতরে যাইয়া বহো, রহিম্যা রুকনেরে ডাইক্যা দিবনি। আমার আবার হাড়াহাড়ি বলে আন্টি নিউমার্কেটের উদ্দেশে রওনা দিলেন। তবে তিনি নিউমার্কেটে যাবেন কি-না, আমরা কিন্তু তা জানি না। তার জন্যও হয়তো কোনও আক্কাস কুদ্দুস কিংবা ইলিয়াস সাব অপক্ষোয় বইসা আছেন। আন্টি গেলেই তার বান্টি ফাটাবেন তিনি, নিরাপদ কোনও স্থানে গিয়ে। তাই বলা নি®প্রয়োজন, মানুষের যৌন জীবন খুব গোপন। ক্যারা কারে দিয়া বেড়ায়, বলা মুশকিল। যেইখানে গাঞ্জা বিক্রেতা ফালতু আলী লোকের কাছে যত্রতত্র কইয়া বেড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও এক ম্যাডামের প্যাট কাটলে আলীর ট্যাকার কোক এহনও পাওয়া যাইবে, সেইখানে কুনো কিছুই আর অনবিশ্বাস করার নাই। জগতের সবই তখন সবই হইতে পারে থিওরির তলে পড়ে।
সে যাই হোগ্গা, এইদিকে, ঘুমের মইধ্যে রোকন একটা খরগোশ জবো করবার নুইছিল ব্যাপক জোশে। খরগোশটা প্রথমে তার খাটের তলায় আছিল। তারপর দৌড় দিয়া পলাইল একটা ঝুপড়া বনে। রোকন তারে যাইত্যা ধরল খাটের উপরে আর অমনেই খরগোশটার বুকে বুনি গজাইল। বড় বড়। রুকনের চাকুডাও পরিণত হইল একটা ছুরিতে। এবং কন থিক্যা যানি কী হইয়া গেল, রোকন দেখল ওই নিরীহ খরগোশটার চাইর হাতপাও বাঁইন্ধা সে নিজেই সুমানে ছুরি চালাইতাছে। নল্লির মইদ্যে। কিন্তু জবো হইতে হইতেও হইতেছিল না। সে আরও জোরে জোরে কুপায়! কিন্তু কাটে না। নল্লি কাইটা গুল্লরি নগাল রক্ত চিলকি দিয়া ছুটে না। হাতে তার ব্যাদ্না ধইর্যা যায়। শরীর দিয়া ঘাম ছুটে। কিন্তু রক্ত পড়ে না। খরগোশও মরে না।
এই সুমায় হঠাশই ঘুম ভাইঙ্গা যায় রোকনের। পিঠে ভারী কিছুর অস্তিত্ব টের পায়। চোখে দেখে পরিচিত জিঞ্জের প্যান্ট। রোকনের মন খুশি হইয়া যায়। দুই হাতে ভর দিয়া রোকন উপরে উঠতে থাকে, সেইমতো সুন্দরমতো ম্যায়াডার মাথাও রোকনের পিঠ থিকা পিছলা যাইতে থাকে। কিন্তু ম্যায়াডা দুইহাতে চাইপা ধরে রোকনরে আর মাথাডা তুইলা নেয় রোকনের ঘাঁড়ের কাছে। চুষনি চুমা কষায়। রুকনে শিউরা উঠে। কিন্তু তারপরও ‘উহ মরলাম মরলাম’ বলে অযথা আহ্লাদ করে। এবং ঠেলা দিয়ে উঠে পড়ে।
কখন আসলে? বলে রোকন তার লুঙ্গি ঠিক করে। কিন্তু এতক্ষণ ধরে স্বপ্নে খরগোশ জবো আর বাস্তবে খাটের কাঠ গুতানো বেকায়দায় পড়ে থাকা লিঙ্গটা লুঙ্গির তলে বেলেহাজের মতো দাঁড়িয়া হাসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোকনের কথা পৌঁছায় না সুন্দর মতো ম্যায়াডার কানে। বরং লিঙ্গের সৌন্দর্য তাকে বেশি বেশি টানে, ওমা ওটা কত বড় হয়ে আছে! রুকনে শরমায় হয়তো। তাই এবার জিজ্ঞাস করে, তুমার কি আজকে আসার কথা ছিল? সুন্দর মতো ম্যায়াডা অবাক হয় খুব। ওমা! তুমি বুঝি জানো না? আজ সাত দিন পার হয়ে গেছে? তখনই রুকনে ঝাপাইয়া পড়ে, সুন্দরমতো ম্যায়াডার উফরে।
পাশের ঘরে রহিম্যা ফুল ভলুমে হিন্দু ছবির গান দেহে এবং কিটিকিটি কইরা হাইসা মরে। যতডা না জনি লিভার আর গোবিন্দর কৌতুকে তার চাইয়্যাও বেশি পাশের ঘরের খচরমচরের আওজে। কারণ বাসা খালি পাইলেই ভাইয়্যা যে তারে নিয়্যাও খচরমচর খেলে। আর আমাদের কাছেও তখন অজানা থাকে না, কোনও এক অনামজাদা ক্লিনিকের কালোমতোন গাট্টাগোট্টা মোট্টা একটা প্যারামেডিক রুকনরে চাবাইয়া চাবাইয়া সাতদিন আগে কইছিল, এক সাপ্তা কুনো লাগালাগি করবেন না। মুনে থাকপো? রুকনে মাথা নাইড়া সায় দেয়। আর সুন্দর মতোন ম্যায়াডা তখন ক্লিনিকের এক নোংরা বিছানায় ভুলভাল বকে, এ্যানেসথাসিয়ার নিষ্ঠুর কামুড়ে।
তাই এই সাতদিন পর কালোমতোন গাট্টাগোট্টা মোট্টা নার্সের শর্ত মাইনা তারা ঝাপিয়া পড়ে একে অন্যের উপর। সুন্দরমতো ম্যায়াডার অনেক কষ্টে যোগাড় করে আনা নোটখানা বিছানায় এলোপাতাড়ি গড়ায়। রুকনে তাতে ঢেঁকির পাড় বসায়। ঢেঁক কুড়কুড় ঢেঁক। পিথিবীর সবই তহন তব্দা লাগা। খালি সুন্দরমতোন একটা খরগোশছানা খ্যান খ্যান কইরা কান্দে আর কয়, আব্বা আফনেরা আমারে মাইরা ফালাইলেন? আম্মা...আফনেরা আমারে মাইরা হালাইলেন! কিন্তু ঢেঁকিতে নোটে তখন তুমুল উত্তেজনা। এসব তাদের কানেই ঢুকে না। কানে তাদের লুহার তালা। সিলগালা।
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০১০
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
1 মতামত(সমূহ):
প্রথমে একটু ধাক্কা মত খাইছি। তারপর যতই গল্প আগাইছে নৌকার গলুইয়ে বসা মাঝির মত ঢেঊএর ধাক্কা সইয়া গ্যাছে। শ্যাষে বিরাট আরাম পাইছি। কারনটা অবশ্য কইতারুম না।
আপনার এই গল্পটা নিয়ে আজ বাসায় আলোচনা হইতেছিল। কেউ একজন কইল চরম অশ্লীল, কেউ কয় পাঠের অযোগ্য। আমি হালায় কই ঘটনা কী! একটু গুগলিং কইরা পায়া গেলাম। দ্যাশে গেলে বইটা সংগ্রহের চেষ্টা নিমু। ঢাকার বাইরে পাওয়া যায় কীনা কে জানে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন