মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০১০

ডাক্টার সামঝান ও নীলরঙা ঘুড়া

একটা নীলরঙা ঘুড়া হঠাশ ডাক্টার সামঝানের চ্যাম্বারে যাইয়া উপুস্থিত হইল। দেইখা ডাক্টার সামঝান কয়, কীরে তুই আবর কীয়ের নিগ্যা?
গিরায় ব্যদ্না। চিকিৎসা দেন, ডাক্টার সামঝান বইলা বাঁইহাতের বুড়ি আঙ্গুল দিয়া গিরা ডলে নীলরঙা ঘুড়া।
ডাক্টার সামঝান কয়, পাতর চাবিয়া খা। ভালা হইয়া যাইবগা। আর যুদি ব্যদ্না না যায়, তাইলে কাইলক্যা একটা জিলাফা চাবাইয়া খাইস। ব্যদ্না টিকপো না।
তারপরো যুদিল ব্যদ্না না হারে ডাক্টার সাপ? বইলা ভুদাইয়ের নগাল চোখ বানিয়া চাইয়া থাহে নীল ঘুড়া।
ডাক্টার সামঝান চোক বদ্দ কইরা কইয়া হালায়, না হারলে হারবো না। কত মাইষ্যের গুয়ার ব্যতাই হারা জীবন হারে না। আর তর তো গিরায় ব্যদ্না! উয়া হারলেই কি না হারলেই কি?
না হারলে কি মানে? না হারলে আমি ব্যদ্না পামু না? বইলা বড় বড় চোক নিয়া চাইয়া থাহে নীল ঘুড়া। ডাক্টার সামঝানের দিকে।
-পাবি। খুব ব্যদ্না পাবি। ব্যদ্নার চুটে তর গুয়া দিয়া গু বাইরিয়া যাইবগা। তাতে তর কুনো অসুবিদা আছে? বলে ডাক্টার সামঝান আড়চোখে নীলঘুড়াভিমুখী তাকায়।
-অসুবিধা আছেই তো? বলে ঘুড়ার বড় বড় চোখ বিস্ফারিত হয়।
কী ধরনের অসুবিধা আছে তর? এক চোক বদ্দ কইরা আরেক চোখ দিয়া কয় ডাক্টার সামঝান।
-বড় ধরনের অসুবিদাই আছে আমার। বলে নীল ঘুড়া।
এইবার ডাক্টার সামঝান নইড়া চইড়া বহে। আর কয়, খাড়া খাড়া। তরে তো আমি ছুটো ধরনের নোক মুনে করছিলাম। তর তো বড় ধরনের অসুবিদা থাহার কতা না। দেহিছে, ঠ্যাঙডা আইগা।
ঘুড়া ঠ্যাঙ আইগিয়া দেয়। ডাক্টার সামঝান চোক বদ্দ কইরা গিরায় হাত না দিয়া গুয়ায় হাত দেয়। তারপর কয়, ওরে! তর তো গিরায় ব্যদ্না না গুয়ায় ব্যদ্না। আর সব বড় মানুর নগাল। আমি তো তরে পথম দেইখা বুজি নাই, তুইও বড় মানু। আর বুজুমই বা ক্যামনে? যে পুশাক আশাক নিছস, তাতে তো রাস্তার ছুটোনুকরাই তরে ভাই কইয়া ডাক দিয়া বইব।
ঘুড়া গুয়ায় সুড়সুড়ি খাইয়া কয়, প্যাচাল বাদ দেন। এহন ব্যদ্না ক্যামনে যাইব তাই কন।
ডাক্টার সামঝান এইবার দুইচোখ পুরা খুইলা কয়, আদঘণ্টার এট্টা ইনজিকশন দেওন নাগব তরে। তাইলে ব্যদ্না তো যাইবই, উফুরন্তু তর শইল্যের জার্মও ছু্ইটা যাইবগা।
-তাইলে তাই করেন। গুয়া আইতান বাদ দেন। বইলা ঘুড়া এট্টু সইরা দাঁড়ায়।
ডাক্টার সামঝান কয়, ক্ষেপস ক্যা? মাগনা মাগনা আদঘন্টার ইনজিকশন খাইবা, আবার ক্ষ্যাপ্পা, তাই কি হয়? হুতি দিয়া খাঁড়া। এইবার ধমক কষায় ডাক্টার সামঝান।
-হুতি দিমু ক্যা? ঘুড়া তেরিয়া হইয়া কয়।
-নাইলে তর গুয়ায় ইনজিকশন দিমু ক্যামনে? বইলা ডাক্টার সামঝান ঘুড়ার ঘাঁড়ে ধইরা ঘুড়ারে হুতি দিয়া খাঁড়াইতে সাহায্য করে। ঘুড়া হুতি দিয়া খাঁড়ানোর পর কালা কাফড় দিয়া ঘুড়ার চোখ বান্দে ডাক্টার সামঝান। আর কয়, বড় ধরনের ইনজিকশন তো দেইখা কুলিবার পারবি না। কত বড় মানু তুমা ফিট খাইয়া গেলগ! আর তুই তো তুইই! তারপর বান্দে ঘুড়ার হাতপাও।
সব রেডি হোয়ার পর ডাক্টার সামঝান আদঘন্টার ইনজিকশন পুনে এক ঘন্টা ধইরা মারে। ঘুড়া খালি হুহু কইরা কান্দে। তার গিরার ব্যদ্না গুয়ায় স্থানান্তরিত হয় সারাজীবনের নিগা।
অতএব হে নমশূদ্রগণ এবং ভুদাই বামন, ভুলেও ডাক্টার সামঝানের শরণাপন্ন হইয়ো না। হইলে আদঘণ্টার ইনজিকশন সারাজীবন ধইরা খাওন নাগব।

0 মতামত(সমূহ):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন